তথ্যবিবরণী নম্বর-১৩৫
বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এবং ধর্ম নিরপেক্ষতার ব্যাপারে কোনো আপোস চলে না
- প্রতিবাদ সভায় বক্তারা
রাজশাহী, ২৭ অগ্রহায়ণ (১২ ডিসেম্বর):
জাতির পিতার সম্মান রাখবো মোরা অ¤øান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজশাহীতে প্রতিবাদ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহী বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিবৃন্দ এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। সকাল ১০ টায় বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে নগরীর শিল্পকলা একাডেমিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, আমরা আমাদের মনের ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়ার প্রকাশ ঘটাতে আজ এখানে এসেছি। সকলেই মনের টানে, অস্তিত্বের টানে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিশ্বাসে, বঙ্গবন্ধুর প্র্রতি ভালোবাসার টানে আজ এখানে এসেছি।
সংবিধানে বাংলাদেশের চার মূলনীতিকে দেশ পরিচালনার ভিত্তি হিসেবে গণ্য। বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এবং ধর্ম নিরপেক্ষতার ব্যাপারে কোনো আপোস চলে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ধর্মনিরপেক্ষ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্ম ও বিশ্বাস নিয়ে বসবাস করবে। কেউ কারো ধর্ম বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আঘাত করবে না এটাই ধর্ম নিরপেক্ষতার মূল মন্ত্র। যারাই এই ভিত্তিমূলে আঘাত করতে চায়- তারা সংবিধান লঙ্ঘন করছেন, স্বাধীনতাকে হেয় করছেন।
বক্তারা বলেন, আমরা মনে করি না চোরের দল রাতের অন্ধকারে একটি ভাস্কর্যের ওপরে আঘাত করে বঙ্গবন্ধুর সম্মানের হানি ঘটাতে পারে। চিন্তার বিষয় হলো- ১৯৭১ এর পরাজিত প্রেতাত্মা আবার নখর বিস্তার করছে। এটা উদ্বেগের বিষয়। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। শুধু আইনি বিষয় নয়, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। বঙ্গবন্ধুকন্যা এই দেশকে যে জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে- এটাতে ওই পরাজিত শত্রুদের গাত্রদাহ হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, আমরা সোনার বাংলাদশকে গড়ে তুলবো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়। বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা একই সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধুকে আঘাত করা মানেই বাংলাদেশের অস্তিত্বকে আঘাত করা, স্বাধীনতাকে অসম্মান করা। দেশের প্রশাসন, বিচার বিভাগ সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান আজ সমবেত হয়েছি। নিশ্চয় আমরা বসে থাকতে পারি না যখন বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কোনো অপশক্তি অবস্থান নিবে। ১৯৭১ সালে দেশের সকল পেশাজীবী মানুষ রক্ত দিয়ে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ অর্জন করেছি। দেশ আজ সঠিক পথে এগোচ্ছে। উন্নয়নের মডেল হিসেবে গণ্য হচ্ছে। এই উন্নয়ন কেউ থামাতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রাজশাহীর বিজ্ঞ জেলা জজ মীর শফিকুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সুজায়েত ইসলাম, র্যাব-৫ এর অ্যাডিশনাল ডিআইজি মাহাফুজুর রহমান, জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল প্রমুখ।
.......................................................
ফারুক/আতিক/সিকান্দার/হালিম/১৪.০০ ঘ.
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS