তথ্যবিবরণী নম্বর-১৫০
বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত রেশম শিল্পের ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে
--- বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
রাজশাহী, ২৬ পৌষ (১০ জানুয়ারি):
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ খ্রি. বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই স্মৃতিকে ধরে রেখে রেশম শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে। রেশম বাংলাদেশের ঐতিহ্য।
মন্ত্রী আজ বিকেলে রাজশাহী রেশম উন্নয়ন বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, রেশমের উৎপাদন ব্যয় হ্রাস করে উন্নতমানের সুতা তৈরি করতে হবে। যাতে অল্প দামে ভালো মসৃন কাপড় তৈরি করা যায়। জনগণ সাশ্রয়ী মূল্যে রেশমের কাপড় পরতে পারে। রাজশাহী মানে রাজশাহীর সিল্ক। এটাকে ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, কিভাবে রেশম শিল্পকে লাভজনক শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা যায় এখন আমাদেরকে সে বিষয়ে সাধনা করতে হবে। এটা নিয়ে আমাদেরকে অনেক কাজ করে যেতে হবে। যেন আমরা রেশম ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারি। তিনি বলেন, আমরা রেশম শিল্পকে একটি মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। যাতে ভবিষ্যতে অনেকে এই মডেল অনুসরণ করতে পারে।
সভার শুরুতে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মু. আব্দুল হাকিম পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে রেশম বোর্ডের প্রধান কার্যাবলী, এই শিল্পের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সমস্যাসমূহ, সম্ভাবনা, সমস্যা মোকাবিলায় বোর্ডের প্রস্তুতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য আদিবা আনজুম মিতা, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, রেশম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, বোর্ড পরিচালকগণ, বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় শেষে মন্ত্রী রেশম গবেষণা প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট, পি-৩ কেন্দ্র ও রাজশাহী রেশম কারখানা ঘুরে দেখেন।
এর আগে মন্ত্রী বেলা সাড়ে ১১ টায় মোহনপুর উপজেলার মৌগাছীর চাঁদপুরে রেশম ব্লক ও সম্প্রসারণ এলাকা এবং মোহনপুর চাকী সেন্টার পরিদর্শন করেন। মোহনপুর চাকী সেন্টার পরিদর্শনকালে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান কম খরচে ভালো রেশম উৎপাদন আমাদের লক্ষ্য।
......................................................
সিকান্দার/হালিম/১৭.৪১ ঘ.
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস